শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লিওনেল মেসি। সৃষ্টিকর্তার প্রতি জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা। সতীর্থদেরকে ভাসালেন অভিনন্দনের জোয়ারে। নিজের উচ্ছ্বাসও ঢেকে রাখেননি ৬ বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা।
জয়ের পরপরই ইনস্টাগ্রামে মেসি লিখেছেন, কি অসাধারণ উচ্ছ্বাসের একটি দিন! এই আনন্দ বিস্ময়কর। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। তার কৃপায় আমরা চ্যাম্পিয়ন। ভামোস।
https://www.instagram.com/leomessi/?utm_source=ig_embed&ig_rid=2735c676-98e0-4333-b50e-07f4754ea702
আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই তাকে ‘ফেনোমেনন’ আখ্যা দিয়েছিলেন ক্ষুদে জাদুকর। ফাইনাল শেষে আরো একবার তার প্রশংসায় মাতলেন মেসি।
আরেকটি পোস্টে মেসি লিখেছেন, অভিনন্দন প্রিয়। তোমাকে হাত গলানো মুশকিল। তুমি সবার চেয়ে বেশি যোগ্য।
https://www.instagram.com/leomessi/?utm_source=ig_embed&ig_rid=d4d5df71-0992-48da-8131-164836d39d46
এদিন নিজের দীর্ঘদিনের আক্ষেপটাও ঘুচালেন লিওনেল মেসি। তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার মানেন অনেকে ফুটবলবোদ্ধাই। আন্তর্জাতিক ট্রফি ছাড়াই তাকে এমন স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছেন তারা। গুটিকয়েক যারা সন্দিহান ছিলেন কিংবা তর্কে মাততেন, তাদের যুক্তি ছিল ওই একটাই ‘দেশের হয়ে মেসির নেই কোন শিরোপা’। সেই বিতর্কেরও অবসান হয়েছে। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে সর্বকালের সেরা মানতে আর দ্বিধা নেই কারো।
নিজের ৫ম ফাইনালে এসে অবশেষে অধরা ট্রফিটা ছুঁতে পারলেন আলবিসেলেস্তে ক্যাপ্টেন।
এর আগে অসংখ্যবার হেরেছেন। দেশের হয়ে গেল দেড়যুগে কম চেষ্টা তো করেননি! অবশেষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে জিতলেন নিজের ১ম ট্রফি।
প্রথমার্ধ্বেই লিড নেয় আর্জেন্টিনা। দি পলের পাস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে দলকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন দি মারিয়া। ওই এক গোলই আর্জেন্টিনাকে এনে দিয়েছে ২৮ বছর পর একটি শিরোপা জয়ের সুযোগ।
পুরো আসরটা মাতিয়ে রেখেছেন লিও। দেশের জন্য একটা ট্রফি জিততে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে নেমেছিলেন এবার। আসরের একেবারে শুরু থেকেই নায়কের বেশে ৬ বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা।
Lionel Messi waited his entire life for this moment. pic.twitter.com/T0vnMsI75H
— GOAL (@goal) July 11, 2021
চিলির বিপক্ষে ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোলে আসরে যাত্রা শুরু। বলিভিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোলে গ্রুপপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বে।
কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে আরো একটি ফ্রি কিক গোল। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা লিও।
কেবল তাই নয়, সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতেও সবার আগে মেসি। ৫টি অ্যাসিস্ট করে টুর্নামেন্টে সেরা। পুরো আসরে আর্জেন্টিনার করা ১২ গোলের ৯টিতেই সরাসরি অবদান রেখেছেন বিশ্বসেরা ফুটবলার।
আসরের সেরা ফুটবলার, সেরা গোলদাতা আর সঙ্গে বহু সাধনার একটা ট্রফি। লিওনেল মেসির পূর্ণতা এলো যেন! আর এই এক আসরেই সমালোচকদের সব জবাব দিয়ে দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, এই ধরণীতে যত ফুটবলার এলো-গেলো, আমিই সবার সেরা।